পোশাক শিল্পের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় একটি খাত হালকা প্রকৌশল শিল্প। মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে সব ধরনের সহযোগিতা করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। এ শিল্পখাতের ৮ লাখ মানুষের কারিগরি দক্ষতার ওপর ভর করে মোটরসাইকেল শিল্পের মতো ভারি শিল্প কারখানা মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস যোগাচ্ছে।
হালকা প্রকৌশল শিল্প: মোটরসাইকেল শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ উন্নয়ন পরিপ্রেক্ষিত শীর্ষক এক ওয়েবিনারে শিল্পসচিব কেএম আলী আজম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়েবিনারে সরকারের নীতিমালা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না, তা তদারকির দাবি জানান উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি গবেষণারও তাগিদ দেন তারা।
শিল্পসচিব কেএম আলী আজম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। এজন্য শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। তাই সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন শিল্পের নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন এবং সহায়তা করতে চায় সরকার। হালকা প্রকৌশল শিল্পকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী এই শিল্পকে ২০২০ সালের বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। দেশের শিল্প খাতের বিকাশে সরকারের এই ঘোষণা ও বিভিন্ন উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
অনলাইন সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও হালকা প্রকৌশল শিল্পের দক্ষতা সমন্বয় করে সহায়ক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করতে হবে।
ওয়েবিনারে সভাপতি এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের প্রয়োজনীয় হালকা প্রকৌশল খাতের ৭০ হাজার কোটি টাকার পণ্যের চাহিদার মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ দেশীয় শিল্প সরবরাহ করছে। আগামী পাঁচ বছরে দেশের মোটরসাইকেলের বাজার দ্বিগুণেরও বেশি বাড়তে পারে।
এদিকে উদ্যোক্তারা বলছেন, অর্থ সহায়তার পাশাপাশি নীতি সহায়তা প্রয়োজন। শিল্প গড়ে তোলার আগেই রাজস্ব আদায়ের চাপ যেন নাভিশ্বাস হয়ে না ওঠে, সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
মোটরসাইকেল খাতে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যাশা নীতি নির্ধারকদের। এক গবেষণা বলছে, মোটরসাইকেলের স্থানীয় বাজার আছে ২১শ’ কোটি টাকার । রফতানি সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে এই অংক কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :